নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগেই তিনি উপস্থিত। নতুন কাজের প্রচারের শুটিং পর্ব সেরে সেই রূপটান এবং পোশাকেই। জিজ্ঞাসা করতেই হেসে বললেন, ‘‘তাড়াতাড়ি সাক্ষাৎকার সেরে বাড়ি ফিরব।’’ কাজের বাইরে পরিবারই প্রিয়াঙ্কা সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। নিজেকে অনেকটাই বদলেছেন। বেড়েছে ভাল কাজের খিদে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও অকপট। সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এক কাফেতে আনন্দবাজার অনলাইনের রেকর্ডার অন হতেই কিছুটা চালিয়ে ব্যাট করলেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রশ্ন: কেমন আছেন?
প্রিয়াঙ্কা: এই যে কাজের মধ্যে আছি। ভালই আছি।
প্রশ্ন: ‘অহল্যা’ মুক্তিতে তো অনেকটা সময় লেগে গেল।
প্রিয়াঙ্কা: হ্যাঁ। ২০২২ সালে আমরা শুটিং করেছিলাম। এ বার সময় নিয়ে মুক্তি পাচ্ছে।
প্রশ্ন: কোনও কাজ এত দেরি করে মুক্তি পেলে, তখন শিল্পী হিসেবে তার সঙ্গে রিলেট করা কঠিন না কি সহজ?
প্রিয়াঙ্কা: কিছুটা কঠিন তো বটেই। কখনও বেশি দেরি হলে দর্শকের কাছে সেই কাজ প্রাসঙ্গিকতাও হারাতে পারে। যশের সঙ্গে ‘তোকে ছাড়া বাঁচব না’ ছবিটাও অতিমারির আগে শুটিং করেছিলাম। কিন্তু ২০২২ সালের শেষে মুক্তি পেয়েছিল। আসলে ছবিমুক্তির সিদ্ধান্ত তো অভিনেতার হাতে থাকে না। কিন্তু ‘অহল্যা’র গল্পটাই এমন যে, ছবিটা যে কোনও সময়েই মুক্তি পেতে পারে। তাই মনে হয় না সমস্যা হবে।
প্রশ্ন: গত বছরের বাংলা ছবির দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে ‘বড়’ ছবি ছাড়া বক্স অফিসের ফলাফল আশানুরূপ নয়। আপনার মতে, নেপথ্যে কী কী কারণ রয়েছে?
প্রিয়াঙ্কা: অতিমারি থেকেই কিন্তু এটা চলছে। আমি বিশ্বাস করি, কনটেন্ট ভাল হলে দর্শক সেই কাজ নিশ্চয়ই দেখেন। আবার এটাও মানতে হবে, ছোট প্রযোজনা সংস্থাকে কিন্তু টিকে থাকতে হলে সারা বছর কাজ করতে হয়। আমি সারা বছরে একটাই বড় স্টারকাস্ট নিয়ে ছবি কবর— এই ভাবনা তো সকলের পক্ষে ভাবা কঠিন। বড় সংস্থা এই ঝুঁকি নিতে পারে। যেমন ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবিটার কিন্তু শুরুতে সে রকম ব্যবসা ছিল না। পরে লোকমুখে শুনে ছবিটা আরও বেশি দর্শক দেখেছিলেন। এ বার প্রেক্ষাগৃহে ছবি রেখে দেওয়ার এই খরচটাও তো সকলে বহন করতে পারেন না।
প্রশ্ন: কিন্তু ইদানীং আপনি তো অনেক ছোট প্রযোজনা সংস্থার ছবিতে অভিনয় করছেন। সেটা কি টিকে থাকার তাগিদে?
প্রিয়াঙ্কা: আগে এ রকম প্রচুর কাজ করেছি। তার জন্য আমার কোনও অনুশোচনা নেই। কারণ, অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি। এখন বরং অনেকটাই বেছে কাজ করার চেষ্টা করছি। বহু বছর ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদে এখন আর ইএমআই (মাসিক কিস্তি)-এর কথা চিন্তা করে কাজ করতে হয় না।